লেখকের জন্য নির্দেশিকা - প্রতিসম-মুক্তবাক

পরিবেশ, প্রকৃতি, সমাজ ও সংস্কৃতি বিষয়ক ধারণার যৌক্তিক ও বিচারমূলক বিশ্লেষণ ও বিতর্ক উপস্থাপনই মুক্তবাক পত্রিকার উদ্দেশ্য।

প্রবন্ধের কাঠামো:

১। লেখকের পুর্ণ ঠিকানা, ডাক ও ইমেইল ও পেশাগত সংযুক্তি [ যদি থাকে] শিরোনাম পাতায় উল্লেখ থাকতে হবে।

২। প্রবন্ধের প্রথম অংশ অ্যাবস্ট্রাক্ট বা সারসংক্ষেপ থাকবে। গোটা প্রবন্ধের একটি রূপরেখা বা সারসংক্ষেপে থাকে, যা পাঠ করে একজন পাঠক সহজে প্রবন্ধের বিষয়বস্তু সম্পর্কে বুঝতে পারবেন।

শব্দসংখ্যা: সারসংক্ষেপ ৩৫০-৫০০ শব্দের মধ্যে ।

মৌলিক শব্দ ও ধারণা (Keywords): ন্যূনাধিক ০৬টি।

স্বার্থ দ্বন্দ্ব:

প্রবন্ধটির বক্তব্য ও প্রদত্ত কোনোপ্রকার স্বার্থদ্বন্দ্ব আছে কিনা তা উল্লেখ করতে হবে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে অর্থ বা সহযোগিতায় উক্ত গবেষণা কর্মটি সম্পন্ন হয়েছে কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণা থাকতে হবে। যদি না থাকে তাহলে তাও উল্লেখ করতে হবে।

রেফারেন্স স্টাইল:

Reference বা নির্দেশিকা বলতে বোঝায়, কিভাবে কোন গ্রন্থ, সূত্র বা জার্নাল থেকে তথ্যটি নেওয়া হয়েছে তার একটি বিবরণ । কোনো আর্টিকেল বা গ্রন্থ বা মনোগ্রাফ অথবা অন্যকোনো উৎস থেকে কপি পেস্ট বা “প্লেজারিজম (Plagiarism)” বা নকলবাজি আমাদের জার্নাল গ্রহণ করে না।

প্রবন্ধের তথ্য নির্দেশিকা (রেফারেন্স) American Psychological Association (APA) রীতি অনুসরণ করতে হবে।

ক. যদি ৬ জনের কম লেখক থাকেন, তখন শুধু প্রথমবার সাইট করার সময় কমা দিয়ে দিয়ে সবার নামই লেখতে হয় ( হুমায়ুন, রফিক, হাসান, আজাদ, আনিস, রহমান, ও করিম, ২০২০)। উক্ত রেফারেন্স যদি আবার দ্বিতীয়বার ব্যবহার করতে হয় তাহলে লিখতে হবে ( হুমায়ুন et. al., ২০২০)।

খ. একই লেখকের যদি একই বছর একাধিক প্রকাশনা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে সালের পেছনে ক, খ, গ, ঘ, হবে (হুমায়ুন et. al., ২০২০ ক), আরো থাকলে (হুমায়ুন et. al., ২০২০ খ… গ.. ঘ ইত্যাদি) লেখতে হবে।

যদি জার্নাল থেকে উদ্বৃতি বা রেফারেন্স গ্রহণ করেন তাহলে তা প্রবন্ধের শেষে তথ্য নির্দেশিকায় অ্যালফাবেটিকেল ধারায় লিখতে হবে।

Slasah, T., Nephew, S., Notaraj, A., Jesmin, A., & Zhenuk, A. (2005). Sustainable development and rural woman. Capita , 42 (2), 56-76.

Hodges, F. M. (2003). The promised planet: Alliances and struggles of the gerontocracy in American television science fiction of the 1960s. The Aging Male, 8(2), 175-182.

ঙ. কোনো ইবুক বা ইন্টারনেট সূত্র ব্যবহার করেন, তাহলে :

Thomas, P. (2010). Environment, ecology and society. In P. K. Satoda (Ed.), Philosophy of India, (pp.21-49).

Retrieved [ Date] from :

http://www3.interscience.wiley.com/cgi-bin/bookhome/117909832.

চ. ইনটেক্স হবে এভাবে : (Anderson, 2007, p. 7)।

ছ. APA রীতি অনুসারে, প্রবন্ধের শেষে প্রদত্ত নির্দেশিকার অ্যালফাবেটিকেল তালিকা প্রদান করতে হবে।

জ. হুবহু উদ্বৃতি : গ্রন্থে যেভাবে আছে ছিক সেভাবে মূলটেক্স হতে ১.৫ ইঞ্চি ইনডেন্ট করে লিখতে হবে :

"ইংল্যাণ্ডে রবীন্দ্রনাথ সম্বর্দ্ধনার খবরে দেখিতেছি- ইংল্যাণ্ডের অনেক সুধী স্বীকার করিতেছেন যে, রবীন্দ্রনাথ বর্তমান যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি ও ভাবুক-এ বিষয়ে তাঁহার তুল্য দ্বিতীয় ব্যক্তি জগতে কোন দেশে নাই। আনন্দের কথা নয়? তবে কিনা দেশের লোক এতদিন তাহা বুঝতে পারে নাই। ইদানীং রবীন্দ্র ভক্তবৃন্দের বগলেই বিরাজ করেন দর্শন দুর্ঘট। বিস্ময়ের কথা এই যে, দেখিতে দেখিতে জগতের সাহিত্য এত দরিদ্র -প্রায় দেউলিয়া হইয়া গিয়াছে যে রবীন্দ্রনাথ সর্বশ্রেষ্ঠ বলিয়া পরিগণিত হইলেন। কোন কোন সুধী এই জগতব্যাপী কবি জরিপের সার্ভেয়ার ছিলেন,তাহা বলিতে পারিনা। যাঁহারা আমাদের ধন্য করিলেন, তাঁহারাই ধন্য।" (জোতির্ময়, ২০০১, পৃঃ ৯-১০)।

ঝ. প্যারাফ্রেজ বা অন্যকারো বক্তব্য নিজের ভাষায় লিখলে অবশ্যই রেফারেন্স করতে হবে :

শব্দ তত্ত্বের দুটি অর্থ রয়েছে, একটি ব্যবহৃত হয় প্রায়োগিক বিজ্ঞানে (উভয় প্রাকৃতিক এবং সামাজিক) এবং অন্যটি ব্যবহৃত হয় দর্শনবিদ্যা , গণিত , যুক্তি , এবং মনুষ্যত্বে অন্যান্য ক্ষেত্র জুড়ে। জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় এর প্রয়োগার্থে পার্থক্য থাকলেও জ্ঞানের আলোচনা ও ক্রমবিকাশের ক্ষেত্রে মূলভাবগুলির পদ্ধতি ও প্রকাশভঙ্গির একটি সুসংহত রূপ, যা বাস্তবের নিয়ম ও সারগত সংযোগগুলির এক অখণ্ড চিত্র উপস্থাপন করে (রাসবিহারি, ১৮০, পৃ. ৫৩)।

গোটা প্রবন্ধে ন্যুনাধিক ৪০% নিজস্ব বক্তব্য থাকতে হবে ।

ফন্ট সা্ইজ : বাংলা, সুতন্নী এম জে, স্পেস : ১.৫।
প্রবন্ধের দৈর্ঘ্য দশ হাজার শব্দের অধিক হওয়া যাবে না।

লেখক স্বত্ব
পুর্বে কখনো মুদ্রিত হয়নি, কিংবা মুদ্রণের জন্য কোথাও জমা প্রদান করা হয়নি এই মর্মে একটি লিখিত পত্র [ অবশ্যই স্বাক্ষরিত হতে হবে] প্রবন্ধের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
প্রকাশের এক বছরের মধ্যে উক্ত প্রবন্ধটি অন্য কোথাও মুদ্রণ করা যাবে না। মুদ্রণের পুর্বে অবশ্যই সম্পাদকের অনুমতি ও অবহিত করা জরুরি।

মুদ্রণ ও রিভিউ প্রক্রিয়া
প্রবন্ধকারের লেখকের বক্তব্য ও এ সম্পর্কিত কোনো বিতর্কের দায়িত্ব সম্পাদক ও সম্পাদনা পর্ষদ গ্রহণ করবে না। তবে নিবন্ধের কোনো বক্তব্যের বিষয়ে যুক্তিসঙ্গত দ্বিমত থাকলে তা পত্রিকার পরবর্তী সংখ্যায় পিয়ার-রিভিউ কমেন্ট হিসেবে ছাপা যেতে পারে।